নরকের দরজা!
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বিচিত্র এই পৃথিবীতে অনেক মনমুগ্ধকর সুন্দর স্থান যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভয়ংকরতম কিছু স্থানও। তেমনি একটি ভয়ংকর স্থানের নাম নরকের দরজা। দুনিয়ার বুকেই মিলেছে এই ভয়ঙ্কর ‘নরকের দরজা’ বা আগুনের গর্ত।
তুর্কেমেনিস্তানের দারউয়িজি শহরে অবস্হিত এটি একটি জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি Door to Hell বা নরকের দরজা নামে সুপরিচিত। দরজাটি ভয়ঙ্কর সুন্দর লাগে রাতে। তখন অনেক দূর থেকেই জায়গাটা তো দেখা যায়ই, এর শিখার উজ্জ্বলতাও ভালোমতো বুঝা যায়। সেখানকার উত্তাপ এত বেশি যে, কেউ চাইলেও ৫ মিনিটের বেশি সেখানে থাকতে পারবেন না।
এটি কোন প্রাকৃতিক গর্ত নয়। ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ দারউয়িজি এলাকায় অনুসন্ধানের সময় ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। প্রথমে তারা মনে করেছিল এটি একটি তেল ক্ষেত্র তাই ড্রিলিং মেশিন দিয়ে তেল উত্তলনের জন্য সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে। কিন্তু পরে তারা সেখান থেকে বিষাক্ত গ্যাস বের হতে দেখে।
গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলে দুর্ঘটনাক্রমে মাটি ধসে পুরো ড্রিলিং রিগসহ পড়ে যায়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন।
পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস প্রতিরোধ করার জন্য ভূতত্ত্ববিদরা তখন গ্যাসের মুখটি জ্বালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের ধারনা ছিল এখানে সীমীত পরিমান গ্যাস থাকতে পারে। কিন্তু তাদের ধারনা ভুল প্রমান করে এটি ১৯৭১ সাল থেকে গত ৪০ বছর ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ